Search This Blog

Wednesday, July 6, 2011

গেঁগাটি বনে কি বাঘ অাছে ?

হারুণ গোঁসাই হুকো টানছিল বাগদিপড়ার পুকুর ঘাটে। ভাল তামাকের গন্ধ ও অামেজের প্রতি তাঁর পক্ষপাতিত্য অনেকদিনের। পুকুর পাড়ের উঁচু চাতালে মাদুর পেতে বড় একটি শিমুল তুলোর তাকিয়াতে হেলান দিয়ে ফল্গু মাঝির সঙ্গে কথোপকথনে নিযুক্ত ছিল। কলু বাগদি হাত পা ধুয়ে গোঁসাইয়ের চেয়ে অনেক দূরে মাটিতে বসে হুঁকোতে ওলোন্দাজদের সঙ্গে ক্রয়বিক্রয় মারফত পাওয়া ব্রহ্মদেশ থেকে আনা তাম্বাকু সাজাচ্ছিল গোঁসাইয়ের জন্য। সূর্য যদিও মেঘের অাড়ালে ঢাকা, তবু কলু অঘ্রাণমাসের বিকেলে গোঁসাইয়ের উত্তর-পূব দিকে বসেছিল, যাতে অাকশ্মিক যদি মেঘ কেটে সূর্যের অাবির্ভাব ঘটে, তাহলে তার নিচুজাতির ছায়াও যেন গোঁসাই খুড়োকে না স্পর্শ করে। হারুণ গোঁসাই এব্যাপারে গোঁড়া এবং স্পর্শকাতর।

ফল্গু মাঝির ব্যাপারটা যে অন্যরকম তা কলু বাগদি অাঁচ করেছিল শুরু থেকেই কিন্ত ব্যাপারটা ঠিক কি তা ও বোঝেনা এবং বোঝার প্রয়োজনও বোধ করেনি। মাঝি বাগদি গ্রামে মাঝে মধ্যে অনিমন্ত্রিত ভাবে হঠাৎ অাবির্ভুত হন, কখনও রাত কাটান কখনো বা দুপুরের ভাত খেয়ে উধাও হন। লোকে বলে মাঝি নাকি কোম্পানির রানার। তার মানে কি, তা কলু বাগদির অাজও জানা হয়নি। গ্রামের কেউই জানেনা রানারটা কি রকম পেশা। কানাঘুষোয় শুনেছে মাঝিকে নাকি রানারের কাজে খুব দৌড়তে হয় বন বাঁদাড়ে। কিছু লোক, যেমন ওপাড়ার রাম ময়রা, মনে করে ঐ কাজের প্রধান লক্ষ হল সব বনে জঙ্গলে গিয়ে বাঘ ভাল্লুক গোনা এবং বাঘে ধরার অাগেই দৌড়ে পালানো। তবে সেই ব্যাখ্যাটি কলুর পছন্দ হয়নি। কলুর ধারনা কোনো লোকই বাঘের থেকে জোরে দৌড়তে পারেনা। তাই যদি ফল্গু মাঝির পেসা হত, এতদিনে তাহলে সে বাঘের পেটে। কেন, সেবছর বোঁচা তাঁতিকে বাঘে খেল না? বোঁচা কুড়ুল নিয়ে কাঠ কাটতে গিয়ে কৈশরে একটা ছোটখাটো দুর্ঘটনায় নাকের ডগাটা হারায়, কিন্তু সবাই জানে ওর মত কেউ দৌড়তে পারতো না। এইতো সেদিনের কথা, যখন ওকে সর্ষে ক্ষেতের ভেতর দিয়ে বুনো শুয়োরে তাড়া করেছিল এবং বোঁচা অনায়াসে তাকে পেছনে ফেলে ক্ষেত পেরিয়ে পেয়ারা গাছে উঠেপড়েছিল এবং বরাটাকে দেখিয়ে দেখিয়ে পেয়ারা খেতেও ছাড়েনি। কিন্তু সেই বোঁচাও তো শেষে ভরা ভাদ্র মাসে গেঁগাঁটির বনে বাঘের পেটে গিয়ে প্রাণ হারালো।

কলু একবার পালকি বেয়ারা হয়ে মেরি সাঁই কে নিয়ে গেছিল গগনহাটির গ্রামে। নাম গগনহাটি হলেও, সবাই তাকে গেঁগাঁটি বলে ডাকে। সেই গেঁগাঁটির পাসের সেগুন বনের মধ্যে দিয়ে পালকি হেঁইও হেঁইও করে নিয়ে যাবার সময় কলুর ঘাড়ের লোম খাড়া হয়ে উঠেছিল। সবাই জানতো ওখানে বাঘের উপদ্রব। তাই সঙ্গে ঢাকিও ছিল। তাদের জোড়া ঢাকের উচ্চনিনাদী অাকাশফাটানো দুম দুমাদুম অাওয়াজে কান প্রায় কালা হয়ে যায়। তবু ওর যেন পরিস্কার মনে হচ্ছিল প্রত্তেকটা ঝোপের পেছনে বড় বড় হলুদ দুটো চোখ কলুকে দেখছে।

তা, বোঁচা তাঁতি সত্যিই বাঘের পেটে মারা যায়, না দজ্জাল বউয়ের হাত থেকে মুক্তিলাভের অাশায় চটি অার চাদর গেঁগাঁটির বনে ফেলে দিয়ে বালুচরি নদী পেরিয়ে পাড়ি দিয়েছিল দিনাজপুরের দিকে, তা নিয়ে মতভেদ অাছে। তার দজ্জাল বউ পাঁচদিন কান্নাকাটি করে সপ্তাহ পার হতে না হতেই পর্জটনকারী ভোঁদু  বোষ্টমের বৌষ্টুমি হ’য়ে গ্রাম ছেড়ে চলে গেল। সে এক কেলেঙ্কারি।

সে যাই হোক, কলু বাগদির বিচারে বোঁচা বাঘের পেটে গেছে, এবং বাঘের থেকে রক্ষা পেতে গেলে রামনাম করতে হয় - দৌড়লে লাভ হবে না। রাম রাম .. রাম রাম - কলু মনে মনে দুবার জপে নিল।

চিন্তাকে বর্তমানে ফিরিয়ে এনে কলু ফল্গু মাঝির দিকে একঝলক চক্ষুপাত করে নিল। তো, ফল্গু মাঝি সত্যিই বাঘের সামনে দৌড়য় কিনা, কলুর সন্দহ ছিল। তবে এটাও শোনা যায় যে মাঝি নাকি রণপা চড়তে জানে এবং এক প্রহরে সাত ক্রোশ রাস্তা পার হয়েছে এমন নজির আছে। সেটা বাঘের সামনে, না পাসাপাসি, না পেছন পেছন তা কেউ বলে নি। সে গল্পের কতটা সত্যি আর কতটা আফিংয়ের বুলি, তাই বা কে জানে। রাম রাম, রাম রাম।

গোঁসাই খুড়ো হুঁকোতে টান দিয়ে বিহারের মন্বন্তরের কথা বলছিলেন মাঝিকে সেখানে নাকি কিছু কিছু গ্রামে জ্যান্ত লোক অার নেই। মড়া পোড়াবার বা পুঁতবারও লোক পাওয়া ভার। শকুন অার কুকুর অর কাকে মিলে পচে যাওয়া মৃতদেহ নিয়ে টানাটানি করছে। সে এক ভয়ঙ্কর ব্যাপার। কলুর চিন্তা হচ্ছিল ওই সব লোক যাদের শেষকৃয়া করা হয়নি, দাহ ওবদি করা হয়নি, তাদের অাত্মা কি ভূত হয়ে চিরকালের মত সবাইকে তাড়া করে বেড়াবে বিহারে? কলুু ঠিক করলো বিহারের দিকে ও কিছুতেই পা মাড়াবে না - পাল্কি-বেয়ারার চাকরি পেলেও না। রাম রাম, রাম রাম।

গোঁসাই বলছিল বিহারের পর সবচেয়ে করুণ অবস্তা হয় নদীয়ায়। কলু জানতো নদের নিমাইয়ের গল্প। তবে সে অনেকদিন অাগের কথা। নদীয়াটা ঠিক কোনদিকে, তা কলুর আন্দাজের বাইরে ছিল। গোঁসাইকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিল। গোঁসাই বলে জায়গাটা ঢার পূর্বে, পলাসীর দক্ষিণে এবং দুমকা পাহাড়ের পশ্চিমে। এই বিবরণটি কলুর পছন্দমত হয়নি - কারণ কলু কোনও দিন ঢাকা যায়নি, পলাসীও যায়নি। দুমকা পাহাড়ের চুড়ো অবস্য কলু দেখেছে। যখন আকাশ পরিস্কার থাকে, তখন কলু শিমূল গাছে চড়ে তুলো ফাড়তে উঠে দুমকার চুড়ো দেখেছে ঈশান কোনে। ফল্গু মাঝি বলছিল ও এক রাতে নদীয়া পৌঁছয় এবং অারেক রাতে নানুর। মাঝি লোকটা অদ্ভুত বটে, তবে বাঘ গোনা তার কাজ নয়, এ বিষয়ে কলু সুনিশ্চিত।

মাঝি গোঁসাইয়র সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎ হঠাৎ হেঁয়ালি ভাষা ব্যবহার করে - কলু কিছুই বুঝতে পারে না। কিছু কিছু নাম তার মধ্যে ভেষে অাসে - রেজা খাঁ, মজনু ফকির, পাটনার কাউনসিল। অাবার তারই মধ্যে অদ্ভুত ভাষা - দন্টেশি গন্টোমস্তা অন্টো দন্টালালের কন্টাঁধে বন্টন্দুক রন্টেখে কন্টাজ হন্টাসিলের জন্টন্য তন্টৎপর হন্টয়ে অন্টোঠে খন্টোম্পানির হন্টারামজন্টাদারা। কলু হিন্দুস্থানি শুনেছে কয়েকবার - এটা তা নয়। লোকে বলে সাহেবদের ইংরাজি ভাষাটা নাকি ভীষণ খটোমটো - উচ্চারণ করাই মুশকিল। এটা বোধহয় তাই হবে, কলু ঠিক করলো।

গোঁসাই শুনছিলেন মাঝির কাছে কখনো বাংলা, অার কখোনো ওই দাঁতভাঙ্গা ভাষায় - বলছেন পূর্ণিয়ার কথা, বাতিয়ার এবং অারা পরগনার গ্রামগুলির খবর, যেখানে প্রতি গ্রামে তিন ভাগের একভাগ লোকের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে এবং যারা বেছে অাছে তারা অর্ধমৃতপ্রায়। এই মহামারির ঠেলায় বাগদি পাড়ায় লোকবৃদ্ধি হয়েছে। অাত্মীয় স্বজনে অাঁচ করেছে যে বাগদি পাড়ায় লোকে তেমন না খেয়ে মরছে না - তাই ছেলেপুলে নিয়ে অনেক ঘর লোক তাদের নিজের গ্রাম ছেড়ে বাগদি পাড়ায় এসে হাজির। কেউ বা তাদের ছোট ছেলেমেয়েকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। শোনা যায় ওপাড়ের শুন্ডিগ্রামে নাকি বাচ্চা মেয়ে ও ছেলে বিক্রি হয় শনিবার হাটে। যারা খাওয়াতে পারেনা - এবং বেচে দেয় ছয় অানায় এক জোড়া  ভাই বোনকে।

ইংরেজরা নাকি দেওয়ানি পেয়েছে মোগল সম্রাটের থেকে বাংলা বিহার উড়িস্যার, দাম নাকি ছিল ছাব্বিশ লক্ষ টাকা। কলু এক লক্ষ কল্পনা করতে পারেনা। অাট ওবদি ও অনায়াসে গুনতে পারে। ছাব্বিশটা যে অাটের থেকে অনেক বেশি, তাও সে অাঁচ করেছিল। সুতরাং ছাব্বিশ লক্ষ টাকা কুবেরের ধনের সমান। ইংরেজরা কোথা থেকে অত টাকা পেল, অার কেনই বা মোগল সম্রাটকে সেটা দিল, এবং দেওয়ানি নিয়ে লাভটা কি, তা ও ততটা বোঝেনি, যদিও গোঁসাই ও ফল্গু মাঝির কাছে এটা এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, এবং বাংলার অর্থনৈতিক ভবিস্যতে যবনিকা। কলু অর্থনিতি কি জানেনা, এবং যবনিকা কথাটাও সেমন শোনেনি। তবে খাজনা দেবার ব্যাপারটা বুঝতো। জানতো যে নতুন শাষণ ব্যাবস্থায় চাষিদের অনেকঅনেক বেশি খাজনা দিতে হবে, এবং যারা দিতে পারবেনা তাদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে। কলুর মায়ের গলার গান মনে পড়লো - বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দিব কিসে। তবে, এখনকার ঘটনাতে বুলবুলির কোনও হাত নেই, সেটা কলু বুঝেছে।

কলু বাগদিদের পাহাড়ের গুহায় লুকোনো ধানের দৌলতে তাদের গ্রামে এখন ওবধি বেশি কাউকে মরতে হয়নি। তবে কম্পানীর কালক্টারদের চোখে যাতে না পড়ে, তারা সপতাহে তিন দিন নদীপাড়ের গ্রামগুলির মতই বালিতে শুকনো কাঠের চিতা জ্বালিয়ে চারধিকে ঘুরে ঘুরে নাকি সুরে কান্নাকাটি করতো। কালাজ্বরের গল্পটাও ছড়ান। হয়েছিল কৌতুহলী লোকেদের উদ্দীপনা কমাতে। তবে যদু মোড়লের ধারণা অাসচে ফসল কাটার পর তারা হয়তো অার তা বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না। এই নিয়ে মোড়লের সঙ্গে গোঁসাইয়ের কি সব কথা বার্তা হয়েছে কিছুদিন অাগে। শ্যাম হাজরার পিতৃমাতৃহীন দুই ভাগিনাতো আশ্বিন মাসের এক সাতসকালে ফল্গু মাঝির সঙ্গে গ্রাম ছেড়ে কোথায় চলে গেল। মামাকে নাকি বলে গেছে বরকন্দাজ হয়েই ফিরবে। এখন ভুজঙ্গরাজও বলছে ওর এক ভাইপোকে পাঠাবে মাঝির সাথে কোথায় যেন। সেও হয়তো বরকন্দাজ হয়ে ফিরবে।

মেরি সাঁই গেঁগাঁটি গ্রামে কেন গেছিল কলুর জানা নেই। ওটা নাকি ভাইয়ের গ্রাম - নাইয়োর নিতে ভাই নাকি এসেছিল একবার মেরির গ্রামে। এবার বেগম মেরি সাঁই নিজেই গেলেন ভাইয়ের বাড়ি। কলু মেরি সাঁইয়ের ভাইকে দেখেনি। পালকি অালকাতরা মাখানো অাটচালা বাড়িতে পৌছলে বাড়ির বেয়ারা দল পালকি নিয়ে যায় ভেতরে। কলু অন্দরমহল দেখার সুযোগ পায়নি। তিনদিন সে ছিল গেঁগাঁটিতে - বুধি স্যাকড়ার বকুলবাগানের ধারের চালাঘরে। কলু একটা বোয়াল মাছ ধরেছিল বঁড়শিতে সেই সময় বুধির পুকুরে। তারপর অাবার পালকি করে মেরি কে ফেরত নিয়ে অাসে। একদিন ভোরে পুকুরে মাছ ধরার সময় মনে হল যেন উল্টো পাড়ের নিমতলাতে ফল্গু মাঝি দাঁতন চিবোচ্ছে। কিন্তু যেই ভাল করে দেখার জন্য পা বাড়ায়, লোকটা হঠাৎ ঘুরে হনহন করে কেয়া ঝোপের পেছন দিয়ে কচুবনে কোথায় হারিয়ে গেল। কলু আর তার দেখা পায়নি ঔ গ্রামে।

যাই বল, ফল্গু মাঝি কিন্তু বাগদি পাড়াকে টংকা দেয় যতবার অাসে, মোড়ল যদুচাঁদের হাতে, রামী বাগদিকে এবং আরও কিছু কিছু লোককে। কলুকেও দিয়েছে। একবার কলু মাঝির জন্য দুটো মুরগি নিয়ে এসেছিল, কেটে বনভোজন করবে বলে। দাম ছিল তিন পাই, কিন্তু মাঝি কলুকে চার আনা দেয়। বাকিটা নাকি গুরুদক্ষিণা। তার মানে জিজ্ঞেস করলে মাঝি বলে যে বিভুঁইয়ে নাকি একে বকশিশ বলে। এই সব কারণে তাকে গ্রামবাসীরা সন্মান করে এবং বেশি প্রশ্ন করেনা তার যাতায়াত নিয়ে।

কলু আরেক পাটি তামাক পরিস্কার করে ছোট ছোট করে কাটতে শুরু করে। ও গোঁসাইকে অারেকবার তামাক সাজিয়ে দেবে সন্ধ্যে হবার অাগে। কলুর ধারণাই নেই যে, গোঁসাই খুড়োর অারেকটি পরিচয় আছে - নগ্ন সন্যাসী নামে, এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ অাছে দেবী চৌধুরানির। কলুর এটাও জানা নেই যে ফল্গু মাঝির সঙ্গে মেরির একটা গুপ্তসম্পর্ক অাছে, এবং মাঝির সঙ্গে হয়তো ভবানী পাঠকের চেনা শোনা অাছে।

যে মহামারি চলছে বাংলা বিহারে, তার নাম যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হবে একদিন, তাও তার জানা ছিল না। কলু পুকুরের ওপাড়ে কদম গাছের দিকে এক ঝলক দেখে নিল। গাছের গোড়ার পেছনে দুহাত লম্বা ঘাসের ওপর দিয়ে যেন বৃহত হলুদ দুটো চোখ ওদের একমনে দেখছে। ওরে বাবা - বেশি থাকা নেই এখানে - রাম অামারে রক্ষা করুণ। সাজা হুঁকোর নারকেলটা গোঁসাইয়ের দিকে মাটিতে রেখে কলু উঠে দাঁড়াল। “এবার উঠি, গোঁসাই ঠাকুর। মেয়েটা দুদিন হল জ্বরে ভুগছে - দেখে অাসি একটু অালো থাকতে থাকতে।”

দূরে পান বরজের ওপারে তমাল গাছে ঢাকা অাঁধারের থেকে শাঁখের আওয়াজ এল - কোন গৃহবধু সন্ধারতি দিচ্ছে। কলু এক ঝলক অাকাশের দিকে তাকিয়ে আবার কদমতলাটা দেখে নিল। হাতে একটা মশাল থাকলে ভাল হ’ত, তবে তার বদলে যে কাঁসার থালাটা আছে, সেটাকেই পিটিয়ে সে গ্রামে ফিবে। নন্দবুড়ো বলছিল যে মহামারির ফলে বাঘেরা মানুষ মড়া খাবার সুযোগ পাচ্ছে এবং একবার তার স্বাদ পেলে তার নাকি হরিন ছাগল গরুর প্রতি আর আগ্রহ থাকে না। মানুষের মাংস নাকি মিষ্টি।

রাম রাম… রাম রাম… রাম রাম..

2 comments:

Tapas K Basu said...

অনুসচনা হচ্ছে , উপস্থিত না থাকার জন্য ......

Tonu said...

খোথায় না থাকার জন্যে অনুতাপ হচ্ছে ? গেঁগাটি বনে? ওখানে অামিও যাইনি।